ঢাকা: শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ভার্চ্যুয়ালি সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে।
করোনা মহামারিকালে গত ৭ মে (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
দুই দিন পর ৯ মে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেতমত হাইকোর্ট বিভাগ, সময়, প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবে।
একদিন পর ১০ মে ভিডিও কনফারেন্সে সব বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর (ফুলকোর্ট) ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত হয়। পরে ৮ জুলাই বিলটি সংসদে পাস হয়।
নবনির্মিত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, ঢাকা-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ০৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ভার্চ্যুয়াল আদালতের বিষয়ে বলেন,আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০২০ বিচার বিভাগের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এ আইন প্রণয়নে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াস সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য আইনজীবীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব ও স্মার্টফোন, ল্যাপটপ তথা ইন্টারনেট ঘাটতি থাকা সত্বেও বাংলাদেশের আইনজীবীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং বিচারকদের কর্ম উদ্যমের কারণে সীমিত আকারে চলা ভার্চ্যুয়াল ব্যবস্থায় আদালতের কার্যক্রম বিচারপ্রার্থী জনগণসহ সর্বমহলে ইতিবাচক বলে পরিগণিত হয়েছে।
তিনি বলেন,ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে এবং গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ৫ হাজার মামলা হ্রাস পেয়েছে।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন,ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে আপিল বিভাগে দু’টি বেঞ্চ এবং হাইকোর্টে ১৬টি দ্বৈত বেঞ্চ ও ১৬টি একক বেঞ্চ বিচারকার্য পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২০
ইএস/এসআইএস