ঢাকা: ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগকে (২৮) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৯ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৫ নভেম্বর তাকে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠান অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অপরদিকে আসামিপক্ষে এবিএম রুহুল আমিন জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৪ নভেম্বর বংশাল থানাধীন রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে নাজমুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়।
এই মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও সংগঠনটির ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদাকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওই শিক্ষার্থী মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), একই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন (২৮), যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), সংগঠনটির ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল কাফি (২৩)।
গত ২০ সেপ্টেম্বর লালবাগ থানায়ও একই আসামিদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন ওই শিক্ষার্থী। ওই মামলায় ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২০
কেআই/এএটি