ঢাকা: অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা করে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে হওয়া মামলায় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী তাকে গ্রেফতার দেখাতে সিআইডির আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিআইডির অর্গানাইজ ক্রাইম বিভাগের ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। সেই মামলায় সম্রাটের উপস্থিতিতে আজ তাকে গ্রেফতার দেখানো হলো।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। তার উপার্জিত অবৈধ অর্থের মধ্যে ১৯৫ কোটি টাকা তিনি তার সহযোগী আসামি আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া পাচার করেছেন।
সম্রাটের বিদেশ ভ্রমণের পর্যালোচনামূলক তথ্যও মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছে সিআইডি। পর্যালোচনামূলক তথ্যে উল্লেখ রয়েছে, ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইতে দুবার এবং হংকংয়ে একবার যাতায়াত করেছেন তিনি। আর তার অপরাধ কর্মের সহযোগী আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের ২৫ বার যাতায়াত করেছেন।
এর আগে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্থ উপার্জনের অভিযোগে দুদকের করা একটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
গত বছরের ১২ নভেম্বর দুদকের করা মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আনা হয়। ওই মামলায় আদালতে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ আগস্ট অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
কেআই/আরআইএস