জামালপুর: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ হয়েছে। এ সময় বাল্য বিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করায় কাজী রফিকুল ইসলামকে ছয় মাসের জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় বরকে ও কনের বাবাকে দেড় হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে বাল্য বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বর ও কনের অভিভাবকদের।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মাস্টারবাড়ী এলাকায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনমুন জাহান লিজা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, বকশীগঞ্জ পৌরসভার মেষেচর গ্রামের রাজু আহাম্মেদের ছেলে রাসেল মিয়া ও নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়ার ইয়াছিন মিয়ার মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ইতি বেগমের বিয়ের আয়োজন করা হয় মাস্টারবাড়ী এলাকায় কাজীর বাড়িতে। খবর পেয়ে ইউএনও মুনমুন জাহান লিজা ও বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করেন। এ সময় বিয়ে পড়ানোর প্রস্তুতি নেওয়ায় কাজী রফিকুল ইসলামকে আটক করে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত কাজীকে শুক্রবার জামালপুর কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
এসআই