ঢাকা: জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ১০ থেকে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে চলা মামলার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
অস্ত্র মামলার আসামি অশীতিপর রাবেয়া খাতুনকে অব্যাহতি দিয়ে উচ্চ আদালতের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ তালিকা চেয়েছেন।
রায়ের বিষয়ে আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল জানান, রায় পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ বছর, ১৫ থেকে ২০ বছর ও ২০ থেকে তার অধিককাল সময় বিচারাধীন মামলার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে তা দাখিল করতে আইন সচিবকে বলা হয়েছে।
রায়ে আদালত বলেন, ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল সমকালের প্রথম পাতায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি যিনি সংগ্রহ করেছেন তিনি সত্যিকার অর্থে একজন উপযুক্ত সংবাদকর্মী হিসেবে মহান দায়িত্ব পালন করেছেন। যেহেতু একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব শুধু সংবাদ পরিবেশনই নয়, বরং সত্যকে উন্মোচিত করে জাতির সামনে উপস্থাপন করা।
এ রায়ের অনুলিপি পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ডিএমপি কমিশনারের কাছে পাঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তেজগাঁও থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।
অবৈধ অস্ত্র ও গুলিসহ তেজগাঁও থানার গার্ডেন রোডের একটি বাসা থেকে রাবেয়া খাতুনকে ২০০২ সালের ২ জুন গ্রেফতার করে পুলিশ। সেদিনই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ মামলায় জুলহাস ও অপর এক ব্যক্তি মাসুদকে আসামি করা হয়। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়। এর প্রায় ছয় মাস পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। একই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর রাবেয়া খাতুন ও জুলহাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। তবে ২০০৩ সালের ২৪ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর এ মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ মামলার বিচার দীর্ঘ ১৬ বছরেও সম্পন্ন না হওয়ায় এ নিয়ে ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল দৈনিক সমকালে ‘অশীতিপর রাবেয়া: আদালতের বারান্দায় আর কত ঘুরবেন তিনি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম নোবেল।
শুনানি শেষে গত বছরের ৩০ অক্টোবর অশীতিপর রাবেয়া খাতুনকে অব্যাহতি দিয়ে রায় দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
ইএস/আরবি/