ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আগে টাকা দিন, প্রতিষ্ঠানটি বাঁচাতে হবে: হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
আগে টাকা দিন, প্রতিষ্ঠানটি বাঁচাতে হবে: হাইকোর্ট

ঢাকা: আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের ঋণগ্রহীতাদের উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বলেছেন, আপনারা পিপলস লিজিং থেকে টাকা নিয়েছেন। টাকা নিয়ে আপনারা বসে আছেন।

এই টাকা চোর বাটপারদের টাকা না। এটা জনগণের টাকা। আর যারা টাকা রেখেছে সেসব সাধারণ মানুষ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। আগে টাকা দিন। প্রতিষ্ঠানটিবাচাঁতে হবে। আগে টাকা দেবেন তারপর আলোচনা, দরকষাকষি। টাকা না দিলে জেলে যেতে হবে।

পিপলস লিজিং অবসায়ন সংক্রান্ত মামলায় শুনানিকালে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালত আগামী ৯ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। গত দুই ধার্য দিনে যারা হাজির হননি তাদের আগামী ৯ মার্চ হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন কাজী এরশাদুল আলম। ঋণগ্রহীতাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন, আব্দুসসাত্তার পালোয়ান, বেলায়েত হোসেনসহ বেশ কয়েকজন। পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়কের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান।

পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের করা এক আবেদনে পিপলস লিজিংয়ের প্রায় ৫শ জনের বেশি ঋণগ্রহীতার একটি তালিকা দাখিল করা হয়। এই তালিকা দাখিলের পর পাঁচ লাখ টাকা এবং তার ওপরে নেওয়া ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে যারা খেলাপি হয়েছে এমন ২৮০ জনকে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

হাইকোর্ট গত ২১ জানুয়ারি এক আদেশে পিপলস লিজিং থেকে পাঁচ লাখ টাকার ওপরে ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে যারা খেলাপি হয়েছেন এমন ২৮০ জনকে তলব করেন হাইকোর্ট। এদের মধ্যে ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৪৩ জনকে এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৩৭ জনকে হাজির হতে বলা হয়। এরমধ্যে প্রথম দিন ১৪৩ জনের মধ্যে ৫১ জন হাজির হন। আর বৃহস্পতিবার নির্ধারিত দিনে ১৩৭ জনের মধ্যে ৪৫ জন হাজির হন।
 
একজন ঋণগ্রহীতা আদালতে বলেন, আমার জন্য একশ ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু পিপলস লিজিং আমার কাছে ৩৮৪ কোটি টাকা দাবি করছে। আমি প্রতিমাসে ২০ লাখ টাকা কিস্তি দিতাম। গত ২৪ মাস কোনো কিস্তি দেই না। এসময় আদালত এই ব্যবসায়ীর আত্মীয়-স্বজনের পরিচয় তুলে ধরে বলেন, মন্ত্রী দিয়ে ফোন করাবেন না। মন্ত্রী বা কারো প্রভাবে কাজ হবে না। আইনের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে। আপনারা আইনের মধ্যে পড়ে গেছেন। আগামী তারিখের আগেই একটা কিস্তির টাকা দিয়ে আসুন। এরপর কথা বলুন।

আদালত আরও বলেন, আপনাদের প্রথম দায়িত্ব টাকা দেওয়া। এরপর কে কত টাকা কবে কীভাবে দেবে সে ব্যাপারে আলোচনা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।