ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অর্থ আত্মসাত মামলায় আল-হামীম কোম্পানির ৩ কর্মকর্তা কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
অর্থ আত্মসাত মামলায় আল-হামীম কোম্পানির ৩ কর্মকর্তা কারাগারে

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে প্রতারণার মাধ্যমে জনসাধারণের অর্থ আত্মসাতের মামলায় আল-হামীম পাবলিক লিমিটেড নামে একটি ভুঁইভোড় কোম্পানি সাবেক ৩ জেলা কর্মকর্তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।  

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক ফারহানা সুলতানা অস্থায়ী জামিন বাতিল করে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


 
জেলহাজতে পাঠানো আসামিরা হলেন মাওলানা আনিছুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম ও মাওলানা আছয়াদুর রহমান আপেল।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি কোম্পানির কর্মী ওমর ফারুক আল-হামীমের এই ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, আকর্ষণীয় মুনাফা দেওয়ার কথা বলে কোম্পানির নামে গ্রাহকের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা আদায় করা হয়। পরে মেয়াদ শেষে বিভিন্ন স্কিমে সদস্যদের জমাকৃত টাকার লভ্যাংশ না দিয়ে কোম্পানির কর্মকর্তারা তা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাত করেছেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় আদালত থেকে অস্থায়ী জামিন নেন ওই ৩ সাবেক কর্মকর্তা। রোববার মামলার ধার্য তারিখে আসামিরা আদালতে উপস্থিত হলে তাদের জামিন বাতিল করে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামিরা লাখ লাখ টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এ কারণে অনেক দম্পতির সংসারও ভেঙে গেছে। অনেকে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। এ কারণে আসামিদের জামিন বাতিলের আবেদন করা হয়। আদালত বিষয় বিবেচনায় জামিন বর্ধিত না করে আসামিদের জেলহাজতে নেওয়ার আদেশ দেন।


কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার ৩ হাজার গ্রাহকের ৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা নিয়ে হাওয়া হয়েছে আল-হামীম পাবলিক লিমিটেডের এমডি এনামুল বীর কহিনুর ও তার সহযোগীরা। এই কোম্পানি কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলায় চারটি ক্যাটাগরিতে সদস্য সংগ্রহ করে। কাগজপত্রে ইসলামি শরীয়াত মোতাবেক ব্যবসা পরিচালনা করার কথা বলা হলেও দ্বিগুণ লাভের কথা বলে প্রলুব্ধ করা হয় সাধারণ মানুষকে। কোম্পানি হাওয়া হয়ে যাওয়ার পরেও সাবেক কর্মকর্তারা নানান কৌশলে ভুইফোড় কোম্পানি খুলে জারি রেখেছেন প্রতারণা।

এ বিষয়ে অভিযোগ উঠলে প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হলে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম গত ৬ জানুয়ারি এই প্রতারণার ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটিকে ঘটনা তদন্ত করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। যুব উন্নয়নের উপ-পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এবং সমাজসেবা কর্মকর্তাকে এ তদন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
এফইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।