ঢাকা: রাজধানীর তুরাগ থানার নলভোগ এলাকায় ১৩ বছর আগের আলেক মিয়া হত্যা মামলায় আট জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আলাল উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, আ. রাজ্জাক, আ. সাত্তার, আ. জব্বার, আউয়াল মিয়া ওরফে আউয়াল, সমর আলী ওরফে সমর এবং তমিজ উদ্দিন ওরফে তমু।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আ. রাজ্জাক পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। অপর সাত আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
এছাড়া সোহেল ওরফে সোহেল রানা, সোহরাব মিয়া ওরফে সোহরাব, বাবুল মিয়া ওরফে বাবুল ও ফিরোজ মিয়াকে পৃথক দুই ধারায় দেড় বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। আ. বারেক, মোস্তফা ও ওমর আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেন।
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২০০৮ সালের ২৫ জুন তুরাগ থানাধীন নলভোগ গ্রামের আলেক মিয়ার বাড়িতে গিয়ে আসামিরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে আলেক মিয়াকে ভাসানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ছোটভাই মো. রমজান আলী তুরাগ থানায় মামলা করেন।
ওই বছরের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার এসআই মিজানুর রহমান। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার প্রথম ১০ আসামির বিরুদ্ধে সরাসরি হত্যার অভিযোগ এবং পরের পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলায় আসামিদের পক্ষে তিন জন সাফাই সাক্ষ্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২১
কেআই/কেএআর