ঢাকা: বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ লঞ্চডুবির ঘটনায় মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি হবে আগামী ২২ এপ্রিল।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফ-উজ-জামান শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আলম। আদালত ৯ মার্চ মামলার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। তবে এদিন মামলার মূল নথি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে থাকায় বিচারক এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, ময়ূর-২ এর মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা, সহকারী মাস্টার জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন সিপাই, সুকানি নাসির মৃধা, গিজার হৃদয় হাওলাদার, সুপারভাইজার আব্দুস সালাম, সেলিম হোসেন হিরা, আবু সাঈদ ও দেলোয়ার হোসেন সরকার।
গত বছর ২৯ জুন সকালে দুর্ঘটনাকবলিত এমএল মর্নিং বার্ড নামের যাত্রীবাহী লঞ্চ মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটের দিকে যাচ্ছিল। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ নামের আরেকটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়।
এ ঘটনার পর সদরঘাটের একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, পেছনে চলতে থাকা ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ছোট আকারের মর্নিং বার্ড লঞ্চটি মুহূর্তের মধ্যে বুড়িগঙ্গায় ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় ৩৪ জন মানুষ মারা যান।
দুর্ঘটনার পর ৩০ জুন সদরঘাট নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল আলম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার এজাহারে দায়িত্বে অবহেলা ও বেপরোয়াভাবে মর্নিং বার্ড লঞ্চটিকে ডুবিয়ে দিয়ে প্রাণহানির জন্য ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২১
কেআই/ওএইচ/