ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের কোতয়ালি থানায় দায়ের করা ধর্ষণ, অপহরণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (১৪ মার্চ) এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
মামলার ছয় আসামি হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), একই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন (২৮), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরু (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকী (২৩)।
এর মধ্যে নাজমুল হাসান সোহাগ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। তবে গ্রেফতারের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল হুদা গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান। এদিন জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জামিনে থাকা দুই আসামির পক্ষে আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম ও খাদেমুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এছাড়া তিনিই লালবাগ থানায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।
এ মামলায়ও ওই ছয়জনকেই আলাদা আলাদা অভিযোগে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলাটিতে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে। তবে এই মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগের বিরুদ্ধে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গড়ে ওঠা এই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক। এছাড়া অন্য আসামিরাও সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
মামলায় ওই তরুণীকে অপহরণ, এরপর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয়প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা যায়, মামলাটিতে দু’টি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। একটি অভিযোগ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং আরেকটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
মামলায় ঘটনার দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। স্থান উল্লেখ করা হয়েছে, কোতোয়ালি থানা এলাকার সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট।
গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় নুরসহ এই ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে ওই মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে নামলে ভিপি নুরসহ ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। অবশ্য ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
কেআই/এএ