জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (১৪ মার্চ) বিকেলে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী এ রায় দেন। এ মামলায় অপর আসামি জাহিদুল ইসলামকে (৪০) বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত জহুরুল ইসলাম জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বানাইচ আলীপুর গ্রামের মৃত মোহর আলী সরদারের ছেলে। তিনি মামলা চলাকালে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপন করেছেন।
খালাসপ্রাপ্ত জাহিদুল জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা পাড়ার নছির উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৩ মে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী গোপিনাথপুরের মেলায় গিয়েছিল। এ সময় ওই ছাত্রীকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে অপহরণ এবং পরে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনার পর দিন ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় জহুরুল ও জাহিদুলের নামে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই বছরের ৭ আগস্ট আদালতে চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় রোববার বিকেলে জহুরুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। আর অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় অপর আসামি জাহিদুলকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী বলেন, মামলায় অপহরণের ঘটনায় যাবজ্জীবন ও ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও দু’টি ধারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার সমুদয় টাকা সরাসরি বাদীর হাতে পৌঁছে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ১৪ মার্চ, ২০২১
এসআই