ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৩ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২১
কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৩ জনের যাবজ্জীবন কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৩ জনের যাবজ্জীবন। ছবি: বাংলানিউজ

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জে কৃষক তাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাইকুল ইসলাম ও গোলাপ মিয়া নামে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ মার্চ) সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মিজান ও সুলতান পলাতক ছিলেন। বাকি আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতের পেশকার আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাইকুল ইসলাম ও গোলাপ মিয়া। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. সাইদু, আ. হামিদ, আ. রহিম, বাদল মিয়া, মোস্তফা, মিজান, সুলতান, রায়হান, হাবিব, ফারুক, জলে বেগম, আনিসা বেগম ও হেনা বেগম।  আসামিরা সবাই একে অপরের আত্মীয় এবং কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আ. ছাত্তারের ছেলে কৃষক তাজুল ইসলামের সঙ্গে একই এলাকার সাইকুল ইসলামের জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো। এর জের ধরে ২০১১ সালের পহেলা জানুয়ারি দুপুরে বাড়ির পাশে জমিতে কাজ করার সময় তাজুল ইসলামের ওপর হামলা করেন আসামিরা। এ সময় হামলাকারীদের (আসামিদের) ছুরিকাঘাত ও পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান কৃষক তাজুল। এতে আরও কয়েকজন আহত হন।  

এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে মালা বেগম বাদী হয়ে ওইদিন ১৬ জনকে আসামি করে কটিয়াদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১৯ মে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ আহমেদ। সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আদালতে সোমবার (১৫ মার্চ) সকালে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।  এছাড়া এক আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার মামলা শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।  

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট যজ্ঞেশ্বর রায় ও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।