যশোর: যশোরে চেক ডিজঅনারের পৃথক দু’টি মামলায় দুইজনকে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৫ মার্চ) যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো-যশোর শহরের নওয়াপাড়া এলাকার আকবর আলীর ছেলে মেসার্স এস নাহার কনস্ট্রাকশন মালিক আসাদুল ইসলাম ও ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকার মৃত ওলিউল্লাহর ছেলে সেবা মটরসের মালিক ফারুখ হোসেন সোহেল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মেসার্স এস নাহার কনস্ট্রাকশনের মালিক আসাদুল ইসলামের কাছে ১৫ লাখ টাকা পাওনা ছিল মণিরামপুর উপজেলার হাকাবো গ্রামের মৃত গোলাম নবীর ছেলে আমজাদ হোসেন লাভলুর। ওই টাকার বিপরীতে লাভলুকে একটি ব্যাংক চেক দেন আসাদুল ইসলাম। নির্ধারিত সময় চেকটি ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার করে। ফলে ২০১১ সালের ২৩ জুলাই আদালতে আসাদুলের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকার চেক ডিজঅনারের মামলা করেন লাভলু। স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সোমবার আসামি আসাদুলকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও সমপরিমাণ টাকা জরিমানার আদেশ দেন বিচারক। তবে রায় দেওয়ার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসাদুল পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়।
অপরদিকে, ১০ লাখ টাকা পাওনা দাবিতে যশোরের অভয়নগর উপজেলা শহরের নওয়াপাড়া স্টেশন বাজারের ব্যবসায়ী বিকাশ কুমার ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর ফারুক হোসেন সোহেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার আসামি ফারুক হোসেন সোহেলকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও সমপরিমাণ (১০ লাখ) টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। রায় দেওয়ার সময় আসামি সোহেল আদালতে হাজির থাকায় বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২১
ইউজি/ওএইচ/