নওগাঁ: নওগাঁয় হত্যা মামলায় রেজাউল ইসলাম ওরফে লালু (৪১) নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই মামলায় লালুর স্ত্রী লাকি বেগমকে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও পাঁচদিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২য় এর বিচারক গাজী দেলোয়ার হোসেন এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সামছুর রহমান। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এমএইচএম জাহাঙ্গীর আলম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার কচুয়া উত্তরপাড়া গ্রামে আফাজ উদ্দিন সরদারের সেচ পাম্পে কাজ করতেন একই
গ্রামের জাহাঙ্গীর প্রামাণিক (৩০) নামে এ ব্যক্তি। সেচ পাম্পের নিরাপত্তার জন্য রাতে সেখানেই ছোট ঘরে তিনি থাকতেন। প্রতিদিনের মতো ওই বছরের ৫ মার্চও তিনি রাতের খাবার খেয়ে ৮টার দিকে সেচ পাম্পের ঘরে যান। পরদিন সকালে ওই ঘরের কাছের ধানক্ষেতে তার গলা কাটা মরদেহ পাওয়া যায়। জমিজমা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে স্থানীয় লালুর বিরোধ চলছিল। এরই জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে পরদিন ৬ মার্চ নিহতের স্ত্রী সাথী বাদী হয়ে আত্রাই থানায় লালু ও তার স্ত্রী লাকি বেগমকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় লালুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২০১ ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় লালুর স্ত্রী লাকিকে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও পাঁচদিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
এসআই