ঢাকা: রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলায় ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
বুধবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
গত মাসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর মামলাটি বদলি হয়ে ট্রাইব্যুনালে আসে।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওসমান আরা বেলী ২০২০ সালের ১০ মার্চ হাজারীবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়াকে জড়িয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় লেখালেখি করায় গত বছর ৯ মার্চ রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ সাইফুজ্জামান শেখর। এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়।
মামলা হওয়ার পর গত বছর ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের ‘পক্ষকাল’ অফিস থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজ হন। তাই ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন।
গত বছর ১৩ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শফিকুল ইসলাম কাজলকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত দেওয়ার দাবি জানায় তার পরিবার। পরে ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।
ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ফটো সাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি।
পরদিন (৩ মে) অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তীতে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
প্রায় সাড়ে আট মাস কারাভোগের পর গত ২৫ ডিসেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
কেআই/ওএইচ/