বরিশাল: দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ঝালকাঠি জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী নুরুল আমিন সিকদারকে পৃথক দুই ধারায় ৬ বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে অবৈধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত স্ত্রীর নামে নগরীর আলেকান্দা এলাকায় নির্মিত ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন, স্ত্রী ইসরাত জাহানের নামে নগরীর আলেকান্দা এলাকার ১২ শতাংশ জমি ও নাবালক ছেলের নামে ঢাকার বড় মগবাজারে থাকা ১৬২০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ মার্চ) বরিশাল বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. মহসিনুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত রায়ে আরো উল্লেখ করে বলেন, অর্থদণ্ডের টাকা আসামির স্থাবর অস্থাবর সম্পদ বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দিতে হবে। এজন্য বাড়ি বাজেয়াপ্ত করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বরিশাল/ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।
এছাড়া নুরুল আমিন সিকদারের স্থাবর/অস্থাবর সম্পদ বিক্রি করে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে তার এক কপি আদালতে দাখিলের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত প্রকৌশলী নুরুল আমিন সিকদার লাচিন ভবনের মালিক ও উজিরপুর উপজেলার উজিরপুর বাজার এলাকার মৃত ইয়াকুব আলী সিকদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় নুরুল আমিন সিকদার আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
বেঞ্চ সহকারী রবিউল আলম জানান, ২০০৯ সালের ২৮ অক্টোবর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঝালকাঠি জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী নুরুল আমিন সিকদারের বিরুদ্ধে বরিশাল দুদকের সহকারী পরিচালক এমএইচ রহমতউল্লাহ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আনা অভিযোগে উপ সহকারী প্রকৌশলী নুরুল আমিন সিকদারকে অভিযুক্ত করে ২০১০ সালের ৩০ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক এমএইচ রহমতউল্লাহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
বিচারক ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে দুই ধারায় তিন বছর করে মোট ৬ বছরের কারাদণ্ড ও তিন কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রায় ঘোষণার সময় পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২১
এমএস/আরএ