ঢাকা: অধস্তন আদালতে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ ভার্চ্যুয়ালি নিষ্পত্তি করা হবে।
রোববার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রাদুর্ভাব মহামারি কোভিড (১৯) এর ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে আগামী ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
সাপ্তাহিক ছুটি ও সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্য সাধারণ ছুটি ব্যতীত প্রত্যেক জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর এলাকায় মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, শিশু আদালতের বিচারক এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার আইন ২০২০’ এবং অত্র কোর্ট কর্তৃক জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ পূর্বক শুধু জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্ত সমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্ট কর্তৃক জামিন আদেশের ক্ষেত্রে চিফ জুডিশিয়াল বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট জামিননামা দাখিল করতে হবে। এছাড়া সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় চিফ জুডিশিয়াল ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ পূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।
করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার আইন পাশ করা হয়। এই আইনের আওতায় গত বছর কয়েক মাস ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২১
কেআই/এইচএডি