ঢাকা: ছাত্র অধিকার পরিষদের আটক ৫৪ নেতাকর্মীর মুক্তির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সোমবার (৩১ মে) রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট হলো জনগণের জন্য একটা উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ।
‘জনগণের বিচারের জায়গা এটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। আমি বলেছি, আপনারা যদি আমাকে ঢুকতে না দেন, দারকার হলে সারা রাত আমি ওই গেটে বসে থাকবো। আমি মুক্তিযোদ্ধা কখনো পেছাতে শিখিনি। জয় নিয়েই ফিরবো। ’
ছাত্র অধিকার পরিষদের আটক ৫৪ নেতাকর্মীর বিষয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা ১৮ জন ব্যক্তি একটা দরখাস্ত করেছিলাম। সেখানে ৫৪ জন ছাত্রের জামিন চেয়েছিলাম। আজ তিন মাস হয়ে গেছে জামিন হয় না। অথচ সৌভাগ্যের বিষয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সাতদিনের মধ্যে জামিন হয়ে গেল। রোজিনার তথাকথিত অপরাধের চেয়েও ছাত্রদের অপরাধ কম।
‘তাদের অপরাধ, তারা একটি ঘৃণ্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে দিক্কার দিয়েছে। এই কারণে তাদের জেলে দিয়েছে। এই ছাত্রদের জামিন না দেওয়া এর চেয়ে বড় অন্যায় আর কি হতে পারে। এই কথাগুলো প্রধান বিচারপতিকে জানাতে এসেছিলাম। উনি (প্রধান বিচারপতি) আজ অফিসে নেই। ওনার প্রতিনিধি রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানালাম।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজীজ উলফাৎ, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
গত ২৫ মার্চ মতিঝিলে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের সংঘর্ষের ঘটনায় মতিঝিল থানায় প্রথম মামলা হয়। এরপর গত ২৭ মার্চ প্রেসক্লাবের সামনে ধস্তাধস্তির ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়। উভয় মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক বাদে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়।
এসব মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের বিভিন্ন স্তরের নেকাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২১
ইএস/এএ