ঢাকা: লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাই (এলএসডি) মাদক জব্দের ঘটনায় খিলগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৬ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- সিরাজুস সালেকীন ওরফে তপু, এসএম মনওয়ার আকিব ওরফে আনান, নাজমুস সাকিব, সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফ এবং নাজমুল ইসলাম।
গত ৩১ মে এই পাঁচ আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার সাব-ইন্সপেক্টর বদরুল আল আমিন। আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপরই প্রযুক্তির সহযোগিতায় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ ছাত্রকে গ্রেফতার করে ডিবি।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, এলএসডি সেবনের পর হাফিজুর অস্বস্তিতে ভুগতে থাকেন। একপর্যায়ে টিকতে না পেরে তিনি নিজেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চলে যান। তবে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই এক ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে গলায় আঘাত করেন।
আর এ কারণেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই তিন শিক্ষার্থীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৯ মে রাতে খিলগাঁও থেকে অবৈধ ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি বিক্রির সময় মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফ, এস এম মনওয়ার আকিব ওরফে আনান, মো. নাজমুস সাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। তিনজনের শরীর তল্লাশি করে এলএসডি ও আইস উদ্ধার করা হয়।
তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই রাতে ভাটারা থানাধীন বারিধারা চৌধুরী লাউঞ্জে অভিযান চালিয়ে নাজমুল ইসলাম ও বিএম সিরাজুস সালেকিন তপুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বনানী থানাধীন মহাখালী টিভি গেট এলাকায় কানিজ ফতেমা বিবির বাড়ির তৃতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ এলএসডি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় খিলগাঁও থানার এসআই এসএম মানসুরুল করিম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২১
কেআই/এএ