কক্সবাজার: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফায় চতুর্থ দিনে শহিদুল ইসলামের নামের এক সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। আলোচিত এ মামলার ষষ্ঠ সাক্ষী তিনি।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ জন আসামিকে প্রিজন ভ্যানে কড়া পুলিশি পাহারায় আদালতে আনা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, বুধবার দ্বিতীয় দফায় চতুর্থ দিনে ষষ্ঠ সাক্ষী হিসেবে শহিদুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহন চলছে।
এর আগে দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন রোববার মামলার ৩ নম্বর সাক্ষী মোহাম্মদ আলীর এবং সোমবার চতুর্থ সাক্ষী হিসেবে কামাল হোসেনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম দফার সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে একই গাড়িতে থাকা সাহেদুল সিফাত। এ মামলার মোট ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার ষষ্ঠ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয় র্যাবকে।
২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
এসবি/জেএইচটি