ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জরুরি চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে না হাসপাতাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
জরুরি চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে না হাসপাতাল

ঢাকা: দেশের কোনো সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের দায়িত্বরত চিকিৎসক অসুস্থ ব্যক্তিকে জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে অসম্মতি জানাতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) রুলসহ এ আদেশ দেন।

মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট(ব্লাস্ট) এবং একাডেমি অফ ল অ্যান্ড পলিসি (আলাপ) এ রিট দায়ের করে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, ব্যারিস্টার শারমিন আক্তার ও অ্যাডভোকেট খন্দকার নীলিমা ইয়াসমিন।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে  রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য আগামী বছরের ১৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালত বলেছেন, অসুস্থ ব্যক্তির তাৎক্ষণিক জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসম্মতি জানাতে পারবে না। যদি কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকলে সেক্ষেত্রে জরুরি সেবাসমূহ বিদ্যমান রয়েছে এমন নিকটস্থ কোনো হাসপাতালে উক্ত ব্যক্তিকে পাঠাতে হবে।

এদিকে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে জরুরি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বর্তমান অবস্থার বিস্তারিত বিবরণসহ একটি তালিকা আগামী তিন মাসের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

প্রসব বেদনায় কাতর আল্পনা নামের এক প্রসূতিকে গত ৯ জানুয়ারি জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জরুরি স্বাস্থ্য সেবা দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাবার জন্য বলেন। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে তীব্র প্রসব বেদনা শুরু হলে তিনি নিকটস্থ বকুলতলা মৈত্রী ক্লাবে সন্তান প্রসব করেন। এছাড়াও ২০১৯ সালের এপ্রিলে আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় এক প্রসূতিকে স্বাস্থ্য সেবা দিতে অস্বীকৃতি জানায় আজিমপুরের মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানের গাড়ি পার্কিং স্থলেই ওই প্রসূতি মৃত সন্তান প্রসব করেন।

এসব ঘটনাসহ বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে এ রিট করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১

ইএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।