রাজশাহী: রাজশাহীতে দাঁতের চিকিৎসার জন্য এক শিশুকে খিঁচুনির ওষুধ দেওয়া সেই কথিত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এর বিচারক সাইফুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করা হয়েছে।
ঘটনার শিকার ওই শিশুর বাবা আয়নাল হক বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি রাজশাহীর কাটাখালী এলাকার কথিত চিকিৎসক মফিজুল হক।
অভিযুক্ত ব্যক্তি রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার এমাদপুর মহল্লার সান্ডু মণ্ডলের ছেলে। প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল)। কিন্তু তিনি রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভা বাজারে একজন চিকিৎসকের মতোই চেম্বার খুলে রোগী দেখতেন। সাইনবোর্ডে নিজের নামের সঙ্গে ‘ডাক্তার’ পদবিও ব্যবহার করতেন। স্থানীয়রা তাকে ‘মফিজ ডাক্তার’ নামেই চেনেন।
মামলার বাদী আয়নাল হকের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার দালালপাড়া গ্রামে। সম্প্রতি তিনি তার ছেলে আবদুর রাফির (৭) পোকা লাগা একটি দাঁত তোলেন মফিজুলের চেম্বারে গিয়ে। এরপর ব্যথা না কমার কারণে ২৬ আগস্ট আবার তার চেম্বারে যান। তখন মফিজুল একটি সিরাপ দেন। এই সিরাপ খিঁচুনি রোগীদের প্রয়োগ করা হয়।
ওই সিরাপ সেবনের আধাঘণ্টার মধ্যেই শিশুটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তার শরীরজুড়ে আগুনে পোড়ার মতো ফোসকা পড়ে যায়। শিশুটি এখন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: ভুয়া ডাক্তারের চিকিৎসায় শরীর পুড়ল শিশুর!
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
এসএস/জেএইচটি