ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘গার্ড অব অনার’ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার দাফন, হাইকোর্টের উষ্মা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২
‘গার্ড অব অনার’ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার দাফন, হাইকোর্টের উষ্মা

ঢাকা: কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘গার্ড অব অনার’ না জানিয়ে দাফনের ঘটনায় রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

গার্ড অব অনার না জানানোর ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।

এ সময় আদালত বলেছেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের সূর্য সন্তান। এমন একজন সূর্য সন্তানকে গার্ড অব অনার ছাড়া দাফন করে মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ’

রুলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘গার্ড অব অনার’ না জানানোর ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এ ব্যর্থতার দায় নিরূপনে বাজিতপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কেন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক, জনপ্রশাসন সচিব, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক, বাজিপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পরে আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জানান, লাল মুক্তিবার্তাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবদুল মোতালেব শিকদারের নাম রয়েছে। এছাড়া বেসামরিক সনদও আছে। গত ২৮ জানুয়ারি আবদুল মোতালেব শিকদারের মৃত্যুর পরপরই জেলা প্রশাসকসক, ইউএনওসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়নি। এটা অবহেলা না ব্যর্থতা সে বিষয়টি জানতেই আদালত রুল দিয়েছেন।

এরপর গত ৩১ জানুয়ারি ওই ঘটনায় হাইকোর্টে রিট করেন আবদুল মোতালেব শিকদারের ছেলে রানা শিকদার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।