ঢাকা: প্রায় ১১ বছর আগে রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় হাসনা বেগম নামে এক গৃহকর্ত্রীকে খুনের দায়ে গৃহকর্মী আঞ্জুয়ারা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে।
তবে আসামি পলাতক থাকায় আদালত তার নামে সাজাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
জানা যায়, নিহত হাসনা বেগমের শ্যামপুর থানাধীন ৪০/বি সতিশ সরকার রোডস্থ বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন আঞ্জুয়ারা বেগম। ২০১১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে বাসার আলমারি খুলে ৯০ হাজার টাকার স্বর্ণ এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা চুরি করেন আঞ্জুয়ারা। হাসনা বেগম তা দেখ ফেললে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আঞ্জুয়ারা পাথরের শীল দিয়ে মাথায় ও মুখে আঘাত করলে গুরুতর আহত চারটি দাঁত ভেঙে যায় হাসনা বেগমের। পরে তাকে রুমে আটকে রেখে তালা দিয়ে চলে যান আঞ্জুয়ারা বেগম।
এদিকে হাসনা বেগমের ছেলে হাজী মো. জামাল উদ্দিন খান বাসায় ফিরে মাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে রুমের তালা খুলে মাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বড় মগবাজারের রাশমনো হাসপাতালে নেন।
এ ঘটনায় জামাল উদ্দিন ২৫ সেপ্টেম্বর হত্যা চেষ্টা ও চুরির অভিযোগে শ্যামপুর থানায় মামলা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসনা বেগম ২৭ সেপ্টেম্বর মারা যান। পরে হত্যাচেষ্টাসহ চুরির মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ২২ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন শ্যামপুর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক মাসুদুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
কেআই/এমএমজেড