ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দুদক থেকে শরীফের অপসারণ: রিটের আদেশ রোববার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২২
দুদক থেকে শরীফের অপসারণ: রিটের আদেশ রোববার

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক পদ থেকে মো. শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগের বিষয়ে স্বাধীন তদন্তের জন্য রিটের ওপর আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

তবে শরীফ উদ্দিনের অপসারণের পক্ষে-বিপক্ষে উভয় পক্ষের আরও বক্তব্য থাকলে, তা আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে লিখিত আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া কক্সবাজারে থাকার সময় ৩৩টি (২৫টি লিখিত আদেশে, ৮টি মৌখিক আদেশে) ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করতে না দিতে অনুরোধপত্র দেওয়ার পর আইন অনুযায়ী শরীফ উদ্দিন কমিশনে অনুমোদনের আবেদন করেছিলেন কিনা, তা রিটকারী পক্ষের আইনজীবীকে জানাতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, কোনো স্বাধীন সংস্থা বা সরকারি কর্মকর্তার কোনো আদেশ যদি আদালত বেআইনি বা আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করেন, তারপরে কি সে কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ বা চাকরিচ্যূত করা হয়? হাইকোর্টের আদেশ যখন আপিল বিভাগ এখতিয়ারবহির্ভূত ঘোষণা করেন, তারপর কি হাইকোর্টের ওই বেঞ্চের বিচারকদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়?

শিশির মনির বলেন, এরকম কোনো নজির নেই। কিন্তু শরীফ উদ্দিনের বেলায় তা করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে দুদকের ভাবমূর্তি নিয়ে। যে কারণে বিষয়টির অনুসন্ধান প্রয়োজন, রিটে তাই চাওয়া হয়েছে।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, দুদকের কর্মকর্তা হিসেবে শরীফ উদ্দিন তার ক্ষমতার অপব্যহার করেছেন। তিনি ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছেন কমিশন, আদালতের অনুমোদন-অনুমতি ছাড়া। যে ব্যাংক হিসাবে কোনো টাকা নেই, যে ব্যাংক হিসাবে মাত্র ১৬ টাকা, সেরকম ব্যাংক হিসাবও তিনি জব্দ করেছেন।

খুরশীদ আলম খান আরও বলেন, শরীফ উদ্দিন চরমভাবে পেশাগত অসদাচরণ করেছেন। দুদক চাকরিবিধি ৫৪(২) অনুযায়ী অন্তর্নিহিত ক্ষমতা দিয়ে তাকে অপসারণ করেছে। কারণ শরীফ উদ্দিন কমিশনের আদেশ-নির্দেশ উপেক্ষা করছিল। সে কমিশনের বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। আর কমিশন কখন কাকে, কোথায় বদলি করবে, অপসারণ করবে তা কমিশনের নিজস্ব ব্যপার। তাছাড়া এতে জনস্বার্থও জড়িত না। সুতরাং এ রিটের এখতিয়ার রিটকারীদের নেই। এ রিট চলে না।

এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনায় রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। রিটে দুদক চেয়ারম্যান, সচিব, কমিশনার (অনুসন্ধান), কমিশনার (তদন্ত), পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) এবং শরীফ উদ্দীনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটকারী ১০ আইনজীবী হলেন—আইনজীবী শিশির মনির, রেজওয়ানা ফেরদৌস, জামিলুর রহমান খান, উত্তম কুমার বণিক, মুস্তাফিজুর রহমান, মো. তারেকুল ইসলাম, আহমেদ আব্দুল্লাহ খান, সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান, মো. সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নওয়াব আলী।

আরও পড়ুন
দুদক কর্মকর্তা অপসারণের প্রতিবাদে সহকর্মীদের মানববন্ধন

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২২
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।