ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জামিন নিতে জালিয়াতি বরকতের, তদবিরকারীকে পুলিশে দিলেন হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
জামিন নিতে জালিয়াতি বরকতের, তদবিরকারীকে পুলিশে দিলেন হাইকোর্ট

ঢাকা: ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকতের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে জামিন আবেদনে ভুয়া তথ্য দেওয়া সুরুজ্জামান নামে এক তদবিরকারীকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

আর আইনজীবীকে সতর্ক করেছেন আদালত।  

বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (১৩ মার্চ) এ আদেশ দেন।

আদালতে বরকতের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সফিউল্লাহ হায়দার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

চাঁদাবাজির অভিযোগে ২০২০ সালের ১২ জুন মামলা করেন ফরিদপুরের ব্যবসায়ী ও কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরী।
 
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৫০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতে বরকত-রুবেলের নেতৃত্বে হাতুড়ি বাহিনীর ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী তার প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা তাকে, তার ছেলে ও গাড়িচালককে মারধর করে সোয়া পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে যায়।

এর আগে ফরিদপুর শহরের গোলচামত এলাকায় ১৬ মে জনৈক সুবল চন্দ্রের বাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে সাজ্জাদ, রুবেলসহ নয়জনকে ২০২০ সালের ৭ জুন তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে তাদের বিরুদ্ধে সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ অর্থপাচারের অভিযোগে একই সালের ২৬ জুন রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করেন। মানি লন্ডারিংয়ের ওই মামলায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অনুমান দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। আলোচিত ২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরকে চলতি বছরের ৭ মার্চ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ জানান, এ মামলায় আসামিকে ২০২০ সালের ২৫ জুন শ্যোন এরেস্ট করা হয়। পরে নিম্ন আদালতে জামিন খারিজের পর সাজ্জাদ হোসেন বরকত হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আবেদনে একটি ইনফরমেশন স্লিপ দাখিল করেন। যেটি সম্পূর্ণ ভুয়া। কারণ সে তথ্যে বলা হয়, আসামি এ মামলায় ১৬৪ ধারায় কোনো বক্তব্য দেননি। কিন্তু আদালতের নির্দেশে আমরা নিম্ন আদালতে খবর নিয়ে দেখি এ আসামিসহ কয়েকজন আসামির এ মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি আছে। পরে আদালত তদবিরকারীসহ আইনজীবীকে তলব করেন। আজ আইনজীবী এ মামলার তদবিরকারী সুরুজ্জামানকে হাজির করান এবং সুরুজ্জামান স্বীকার করেছেন এটি ভুয়া। পরে আদালত সুরুজ্জামানকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আর রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিষয়টি তদন্ত করে মামলা করতে বলেন।

তিনি আরও জানান, বরকতের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। এছাড়া অ্যাডভোকেট সফিউল্লাহ হায়দারকে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকতে বলেছেন।      

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।