ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ব্লগার অনন্ত হত্যা মামলার রায় ৩০ মার্চ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
ব্লগার অনন্ত হত্যা মামলার রায় ৩০ মার্চ

সিলেট: লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার রায়ের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। আগামী ৩০ মার্চ সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সোমবার (১৪ মার্চ) আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের দিন তারিখ ধার্য করা হয়। এ মামলায় ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

মামলার এজাহারদাতা ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন- সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর, সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি মুমিনুর রহমান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট নিতু কান্ত দাশ ও অ্যাডভোকেট নাদিম রহমান। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমদ ও ইমরান আহমদ।

২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারের কলাপাড়া এলাকার নিজ বাসার অদূরে বিজ্ঞান মনস্ক লেখক অনন্ত বিজয় দাশকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।

হত্যাকাণ্ডের দিন রাতে অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে এসএমপির বিমানবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে আসামিরা হলেন- কানাইঘাটের আবুল হোসেন (২৫), খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ (২৭) ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ (২৫) পলাতক।

কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এ বি মান্নান ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪) কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন।

এছাড়া সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় বসবাসকারী সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান (৩০) ও কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ (২৫) কারাগারে আছেন।

ফারাবী আরেক বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলারও আসামি।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, গত ২০১৯ সালের ৭ মে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষীদের অনুপস্থিতির কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ বার বার পিছিয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন মামলাটি সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলার পর গত বছরে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
এনইউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।