ঢাকা: যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের নামে স্ত্রী অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবাহর করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে।
বুধবার (১৬ মার্চ) এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু এদিন তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপ-পরিদর্শক গোলসানারা বানু প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। তাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
চলতি বছর ৩ জানুয়ারি বনানী থানায় মামলাটি করেন সুবহা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সুবাহর সঙ্গে ইলিয়াসের পরিচয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। ১ ডিসেম্বর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় সুবাহর পরিবারের পক্ষ থেকে ইলিয়াসের চাহিদা মোতাবেক ১২ লাখ টাকা মূল্যের রোলেক্স ব্রান্ডের ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার পণ্য দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও ইলিয়াস সন্তুষ্ট হননি।
এর মধ্যে সুবহা জানতে পারেন ইলিয়াস একাধিক বিয়ে করেছেন এবং অসংখ্য প্রেমের সম্পর্ক চলমান। এসব নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই ইলিয়াস সুবাহর কাছে ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ৫০ লাখ এবং গাড়ির জন্য আরও ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। গত বছর ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কেনার জন্য সুবাহর মায়ের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছেন তিনি। তাকে আড়াই লাখ টাকা দেয় সুবাহর পরিবার। পরবর্তীতে ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার জন্য ৮০ লাখ টাকার জন্য সুবাহকে চাপ দেন ইলিয়াস। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই জেরে রাত ৮টার দিকে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন ইলিয়াস।
পরদিন আবারও ৮০ লাখ টাকা যৌতুক চান ইলিয়াস। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইলিয়াস সুবহাকে কিল-ঘুষি-লাথি ও চুলের মুঠি ধরে মাথা দেওয়ালের সঙ্গে ঠুকে জখম করেন। এরপর ইলিয়াস সুবহাকে ব্যথার ওষুধ বলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। একটু পর সুবহা অজ্ঞান হয়ে যান। এ সুযোগে আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যান ইলিয়াস।
এদিকে সুবাহর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
কেআই/জেডএ