ঢাকা: ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের এস্টেট আইন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী আইন কর্মকর্তা জহুরুল হককে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি জহুরুলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রায় ঘোষণার সময় জহুরুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জহুরুল ঝালকাঠির রাজাপুর থানার গোপালপুর গ্রামের মৃত হানিফ মৃধার ছেলে।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সালাউদ্দিনের মা হাসিনা আখতার সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নকশাকার হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে কল্যাণপুরের শহীদ মিনার রোডে নিজ খরচে টিনশেড বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছিলেন। পরিবারটিকে উচ্ছেদের জন্য ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল একটি নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে সালাউদ্দিন উচ্চ আদালতে রিট করেন।
রিটটি খারিজ হলে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করেন তিনি। সেই আবেদন বিচারাধীন থাকাবস্থায় ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর জহুরুল হকসহ ৩০/৩৫ জন তাদের উচ্ছেদ করতে যান। তখন সালাউদ্দিন তাদের বিচারাধীন মামলার কাগজপত্র দেখান। তখন জহুরুল দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর তেজগাঁও বাণিজ্যিক এলাকায় একটি ফুড কোর্টে বসে সালাউদ্দিন আসামি জহুরুলকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দেন। সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা দুদক কর্মকর্তারা তাকে হাতেনাতে আটক করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ সহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২২
কেআই/আরআইএস