বরগুনা: বরগুনা জেলা বেতাগী উপজেলার তালগাছিয়া-দেশান্তরকাঠী গ্রামে স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বরগুনা জেলা বেতাগী উপজেলার তালগাছিয়া-দেশান্তরকাঠী গ্রামের মৃত মুনসুর আলী ওরফে নয়া মিয়া হাওলাদারেরর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫২)। হত্যার অভিযোগে স্বামীকে যাবজ্জীবন ও এক লাখ টাকা জরিমানা করে সাতদিনের মধ্যে বাদীকে পরিশোধ করার নির্দেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৭ সালে আসমা বেগম (৩৬) জাহাঙ্গীর আলম বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। বেশ কয়েক বছর পরে আসামি তার একই গ্রামের জনৈক বিধবা জাহানারার সঙ্গে আসামি পরকীয়ায় জড়িয়ে যায়। কিছুদিন পর জাহাঙ্গীর তার স্ত্রীর ওপর চড়াও হয়ে ঘরের পিছনের বারান্দায় নিয়ে আসমিকে মারধর করে মুখ মণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম করে কেরোসিন এনে স্ত্রীর শরীরে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আগুনে আসমার ডান বাহু বুকের নিম্ন ভাগসহ শরীরের নিম্নাংশ আগুনে পুড়ে যায়। বাদী মামলার করার পরে তদন্ত করে এসআই জসিম উদ্দিন ২০ জুন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
বাদী জানান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার মেয়ে আসমা ২০০৯ সালের ৫ মার্চ মারা যায়।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বাংলানিউজকে বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। রাষ্ট্র আশা করে দ্রুত সময় আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. নুরুল আমীন বাংলানিউজকে বলেন, আসামি ৮ বছর কারাগারে ছিলেন। হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক হয়েছে। আসামির আপিল করতে হলে ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২২
এনটি