ঢাকা: ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ছয় হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের মামলায় প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রোববার (২৭ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাদের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
আগামী ২৫ মে পলাতক পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া অপর আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার ও পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
এর আগে পিকে হালদারসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
চার্জশিটভূক্ত অপর চার আসামি কারাগারে রয়েছেন। এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এই চার আসামি হলেন- পিকে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।
দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর (সহকারী পরিচালক) আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চার্জশিটে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২২
কেআই/আরআইএস