ঢাকা: ১৪ বছর আগে গাজীপুরে শিক্ষানবিশ আইনজীবী ফিরোজ্জামান ওরফে সোহেলকে (২৮) হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
বাকিদের মধ্যে দু’জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং একজনকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
বুধবার (৩০ মার্চ) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী ও এসএম শাহজাহান।
জানা যায়, ২০০৮ সালের ৯ মার্চ শিক্ষানবিশ আইনজীবী সোহেলকে গাজীপুরের দক্ষিণ ছায়াবিথী এলাকায় কুপিয়ে জখম করা হয়। পরদিন হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তার বাবা মো. সোহরাব উদ্দিন ভাণ্ডারি বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় তদন্ত শেষ করে ওই বছরের ১০ জুলাই আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
বিচার শেষে ২০১৬ সালের ২৩ গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম এনামুল হক পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন জানান, পাঁচ আসামির মধ্যে মা আমেনা বেগম এবং তার তিন ছেলে তিথী, সজল ও বাপ্পী। আরেকজন আসামি তার বোনের ছেলে বাদল। এ পাঁচ আসামিদের মধ্যে তিথী এবং সজলের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। পলাতক আমেনা এবং আরেক ছেলে বাপ্পীর সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন। আর বাদলকে খালাস দিয়েছেন।
সারওয়ার হোসেন আরও জানান, একই পরিবারের চারজন ফাঁসির আসামি। নারী বিবেচনায় আমেনা এবং বয়স কম বিচেনায় বাপ্পীর সাজা কমানো হয়। আশরাফুল ওরফে বাদল নামে আরেকজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২
ইএস/আরআইএস