ঢাকা: অবৈধ সম্পদের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে এই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল।
তবে সম্রাট অসুস্থ হয়ে কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এ দিন তাকে আদালতে আনা হয়নি। তাই বিচারক সম্রাটের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। এর আগে আসামিপক্ষে করা জামিন আবেদনও একই দিনে শুনানির জন্য রেখেছেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২২ মার্চ সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে আদেশ দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। একইসঙ্গে ৩১ মার্চ অভিযোগ গঠনের দিন ঠিক করে মামলাটি এই আদালতে বদলির আদেশ দেন। ওই দিন অ্যাম্বুলেন্সে করে সম্রাটকে আদালতে আনা হয়েছিল।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমণ্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
কেআই/এমজেএফ