ঢাকা: জন্মসূত্রে কানাডার নাগরিক সেই তরুণীকে ফের হাইকোর্টে হাজির করতে আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই তরুণীকে আইনজীবী বা কোর্ট অফিসারের মাধ্যমে কানাডিয়ান হাইকমিশনে নিয়ে যেতে বাবা-মায়ের প্রতি নির্দেশনা দিতে আবেদন জানানো হয়েছে।
এছাড়া ওই তরুণীর পাসপোর্ট আদালতে দাখিল বা কানাডিয়ান হাইকমিশনে ফেরত দিতে তার বাবা মায়ের প্রতি নির্দেশনা দিতে আরজি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করে রিট আবেদনকারীরা। এরপর আদালত ওই তরুণীকে বুধবার আদালতে নিয়ে আসতে বলেছেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন। তরুণীর বাবা মায়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অজি উল্লাহ ও আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী।
বাংলাদেশি বাবা-মায়ের ওই সন্তানের জন্ম কানাডায়। ১৯ বছরের ওই তরুণী কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১০ মাস আগে তার বাবা মা বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। এরপর ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেওয়া হয়নি।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, তরুণীর কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাকে তার নানী ও মা সব সময় বাসায় তালাবদ্ধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে ওই তরুণী ল্যান্ডফোনে কানাডা সরকার ও ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাই কমিশনকে তাকে জোর পূর্বক ঘরবন্দী করে রাখার কথা জানান। এ সময় ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার কথাও জানান তাদের।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মুগদা থানায় কানাডিয়ান হাইকমিশন থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ৫ এপ্রিল রাজধানীর উত্তর মুগদায় বাবা মায়ের হেফাজতে থাকা ওই তরুণীকে রোববার (১০ এপ্রিল) হাইকোর্টে হাজির করাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে অনুসারে ওইদিন তাকে হাজির করা হয়। তার সঙ্গে আদালতে হাজির হয়েছিলেন তার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাবা-মা। সেদিন আদালত ওই তরুণীকে আপাতত বাবা মায়ের কাছে রাখার কথা বলেছেন।
এরপর আদালত একান্তে ওই তরুণীর কথা শোনেন। তারপর তার বাবা-মায়ের কথাও শোনেন।
পাশাপাশি মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে আদেশের জন্য দিন রেখেছিলেন হাইকোর্ট। এ অবস্থায় আজ রিট আবেদনকারীরা নতুন আবেদন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২,২০২২
ইএস/জেডএ