ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দুদকের মামলায় জামিন মেলেনি, আটকে গেল সম্রাটের মুক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
দুদকের মামলায় জামিন মেলেনি, আটকে গেল সম্রাটের মুক্তি

ঢাকা: অবৈধ সম্পদের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের পক্ষে করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এই আদেশ দেন।

এদিন বেলা ১১টার দিকে জামিন শুনানি হয়। সম্রাটের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী অসুস্থ বিবেচনায় জামিন চান। দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন। এরপর আদালত নথি পর্যালোচনায় আদেশের জন্য রাখেন। দুপুরে দেওয়া আদেশে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।

এদিন মামলায় চার্জগঠনের দিন ধার্য ছিল। তবে, আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ গঠনের তারিখ পিছিয়ে ১১ মে ধার্য করেন আদালত।
 
শুনানি উপলক্ষে অসুস্থ সম্রাটকে কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বাংলানিউজকে বলেন, আমার জানামতে সম্রাটের বিরুদ্ধে চারটি মামলা চলমান রয়েছে। মানিলন্ডারিং, অস্ত্র ও মাদক এই তিনটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। তবে, দুদকের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের এই মামলায় জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় আপাতত তার মুক্তি আটকে গেল।

গত ২২ মার্চ তার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে আদেশ দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। একইসঙ্গে অভিযোগ গঠনের দিন ঠিক করে মামলাটি এই আদালতে বদলির আদেশ দেন।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এদিন দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।  

অভিযোগ আছে, তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন।  

অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমণ্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন।  

এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।