লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের দত্তপাড়ায় চাচা হারুনুর রশিদকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার দায়ে আরিফ হোসেন রুবেল নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউর (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আরিফ হোসেন রুবেল (২৮) তার চাচা হারুনুর রশিদকে (৩৫) ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন।
ভিকটিম হারুনুর রশিদ দত্তপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আবদুর রহিম ডাক্তার বাড়ির আবু জাফরের ছেলে। দণ্ডপ্রাপ্ত রুবেল হোসেন একই বাড়ির আবুল বাশারের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। রুবেল পলাতক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রুবেলের চাচা হারুনুর রশিদ মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। তিনি দেশে থাকার সময় রুবেলের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। এরপর বিদেশ থেকে বাড়ি ফেরার প্রায় ২০ দিন পর ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রুবেল তার চাচা হারুনুর রশিদের ঘরে ঢুকে তার পেটে এবং শীররের একাধিক স্থানে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্বজনরা গুরুতর আহত হারুনুর রশিদকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে নোয়াখালীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থয় পরদিন সকালে মারা যান হারুনুর রশিদ। এ ঘটনায় স্থানীয়রা রুবেলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশ ঘটনার সময় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করে।
হত্যার ঘটনায় ওইদিন নিহতের স্ত্রী নাজমুন নাহার সুইটি তার ভাসুরের ছেলে আরিফ হোসেন রুবেলকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। চন্দ্রগঞ্জ থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল হান্নান তদন্ত শেষে রুবেলের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৬ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দেন। এর আগে রুবেল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সার্বিক তথ্য প্রমাণ ও জবানবন্দির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এ রায় দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
এনএইচআর/এসআই