ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ইছামতি নদীতে ৪৩ জনের দখল উচ্ছেদে বাধা নেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
ইছামতি নদীতে ৪৩ জনের দখল উচ্ছেদে বাধা নেই

ঢাকা: ঢাকার চার নদীর মামলার (৩৫০৩/২০০৯) রায় সংশোধন চেয়ে পাবনার ইছামতি নদীর জায়গায় মালিকানা দাবিকারীদের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া তাদের দখল উচ্ছেদের ওপর দেওয়া স্থিতাবস্থার আদেশও তুলে দিয়েছেন আদালত।

ফলে ওই ৪৩ জনের দখলে থাকা ইছামতি নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
 
রোববার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
 
আদালতে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ, অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল এবং অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।
 
নদী কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এনএম আহসানুল হক। আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অনীক আর হক এবং অ্যাডভোকেট রওশন আলম খান।
 
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, পাবনার ইছামতি নদীর তীরে ৪টি মৌজায় নদীর জমিতে থাকা স্থাপনাগুলোর উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসন নোটিশ দিলে ৪৩ জন ব্যক্তি ২০২০ সালে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন। হাইকোর্ট তাদের দাবির বিষয়ে নদী কমিশনকে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে স্থিতিবস্থা দেন।  

এ আদেশ অনুসারে নদী কমিশনের পক্ষে নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান প্রশাসন ও সব পক্ষের উপস্থিতিতে সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে হাইকর্টে বিভাগের ৩৫০৩/২০০৯, আপিল বিভাগের ৩০৩৯/২০১৯ এবং হাইকোর্ট বিভাগের ১৩৯৮৯/২০১৬ মামলার রায় এবং আইন অনুযায়ী আবেদনকারীদের ওই দখলের জায়গা সিএস রেকর্ড অনুসারে ইছামতি নদীর জায়গা হিসাবে মতামত দেন।
 
‘নদী কমিশনের এ প্রতিবেদন চ্যালেঞ্জ করেও তারা আবেদন করেন। কিন্তু কোনো আদেশ না পাওয়ায় ঢাকার চার নদীর মামলা (৩৫০৩/২০০৯)  রায় সংশোধন চেয়ে আবেদন করেন। রায়ের সংশোধনের ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। ’
 
ওই আবেদনের দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ওই আবেদন খারিজ করে স্থিতিবস্থাও তুলে দেন। ফলে ওই ৪৩ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা নেই বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরেসেদ।
 
মনজিল মোরসেদ আরও জানান, আদালত রায়ে বলেছেন, ঢাকার চারপাশের চারনদীর মামলায় নদীর সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে নদীর সীমানা সিএস রেকর্ড অনুযায়ী ধরতে হবে এবং আপিল বিভাগেও সেই রায় বহাল রেখেছেন। অন্যদিকে আপিল বিভাগের তুরাগ নদের মামলায় নদের সীমানা সিএস রেকর্ড অনুযায়ী জরিপের নির্দেশ দেন। এমতাবস্থায় এই মামলায় রায় সংশোধনের কোন সুযোগ নেই।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।