ঢাকা: দুদকের মামলায় হাজী সেলিমকে হাইকোর্টের ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশের রায় ঢাকার নিম্ন আদালতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (২৫ এপ্রিল) রায়ের অনুলিপি পাঠানো হয়।
দুদক কৌসলী খুরশীদ আলম খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী হাজী সেলিমকে এখন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। যেহেতু তার সাজা উচ্চ আদালত বহাল রেখেছে, তাই তিনি সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
গত ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ হাজী সেলিমকে ১০ বছর কারাদণ্ডের এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার পর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, দুদক আইনে (২৬ এর ২ ধারা) করা মামলায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালত ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় হাজী সেলিমকে তথ্য গোপনের অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারা অনুসারে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। ওই অভিযোগে তার সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ে বলা হয়, বিচারিক আদালত যেদিন হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাবেন, সেদিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আর আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে বলা হয়েছে। যেসব সম্পত্তি নিয়ে এ সাজা দেওয়া হয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নেওয়ারও নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন।
পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২২
কেআই/এসআইএস