বরিশাল: বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের রোড ইন্সপেক্টর রাজীব হোসেন খানকে মারধরের অভিযোগে কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব ও সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামানসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় রোববার (২৫ এপ্রিল) দিনগত রাতে রাজীব বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, মামলা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, রোববার দুপুরে নগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের গোরস্থান রোডের বাসিন্দা সরকারি বরিশাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামানের নির্মাণাধীন বাড়ির নকশা তদারকি করতে যান রোড ইন্সপেক্টর রাজিব হোসেন খান। বিষয়টি জানতে পেরে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব রোড ইন্সপেক্টরের কাছে জবাবদিহি চায়। তখন কাউন্সিলর বিপ্লবের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ‘তিনি রাজিবকে ওই এলাকার হোসাইনিয়া মাদরাসায় নিয়ে মারধর করেছেন’। বিষয়টি জানাজানি হলে বিসিসির শতাধিক পরিচ্ছন্নকর্মী কাউন্সিলরের কার্যালয় ঘেরাও করে সামনের সড়ক অবরোধ করে বিপ্লবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। তখন বিসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গাড়ি দিয়ে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়।
অন্যদিকে কার্যালয় ঘেরাওয়ের প্রতিবাদে দুই ঘণ্টা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে কাউন্সিলর বিপ্লবের অনুসারীরা। এতে অংশ নেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের অনুসারী কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার ও হুমায়ুন কবীরসহ সিটি করপোরেশনের ১০ জন কাউন্সিলর ও তাদের সমর্থকরা। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির পর ৭ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ শেষে রাতে বিসিসির রোড ইন্সপেক্টর রাজীব বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় কাউন্সিলর বিপ্লব ও সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামানের নামোল্লেখ ও তিনজনকে অজ্ঞাতপরচিয় আসামি করা হয়।
কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব জানান, মেয়র সাদিক আবদুল্লাহয়ের লোকজন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কার্যালয়ে এসেছিলেন। জনগণের সেবা কাজে নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এসব অভিযোগে আমিও দ্রুত সময়ের মধ্যে থানায় মামলা করবো। রোড ইন্সপেক্টর রাজীব আমার এলাকায় ভবন মালিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে থাকেন। তিনি কিছুদিন আগেও এক ভবন মালিকের কাছে বড় একটা অংকের টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরও তিনি ওই ভবনকে নোটিশ দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
এমএস/এএটি