ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দুর্নীতির মামলায় কাস্টমস কর্মকর্তার কারাদণ্ড, সম্পদ বাজেয়াপ্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২২
দুর্নীতির মামলায় কাস্টমস কর্মকর্তার কারাদণ্ড, সম্পদ বাজেয়াপ্ত

যশোর: যশোরে দুর্নীতি মামলায় কেএম সিদ্দিকুর রহমান নামে এক কাস্টমস কর্মকর্তার আট বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে ওই আসামিকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করা ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ৭৪২ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

রোববার (২৯ মে) যশোরের স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত কেএম সিদ্দিকুর রহমান কাস্টমসের সাবেক পরিদর্শক যশোর শহরের ঘোপ সেন্টাল রোডের কবি গোলাম মোস্তাফা বাইলেনের বাসিন্দা। তিনি কাস্টমস এক্সাইজ ভ্যাট যশোরের পরিদর্শক ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত কেএম সিদ্দিকুর রহমান জেলহাজতে আটক রয়েছেন।

যশোর দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, কাস্টমস এক্সাইজ ভ্যাট যশোরের পরিদর্শক কেএম সিদ্দিকুর রহমান ১৯৯৮ সালের ৭ জুন দুদকের নোটিশ অনুযায়ী তার অর্জিত সম্পদের বিবরণ জমা দেন। এ বিবরণীতে তিনি শহরের ঘোপ সেন্টাল রোডে ৯ দশমিক ৯৫ শতক জমির উপর একটি দ্বিতল বাড়ি আছে বলে উল্লেখ করেছিলেন। যা তিনিসহ স্ত্রী মিলে ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এ বাড়িটি নির্মাণ করেছেন বলে উল্লেখ করেন। এ সম্পদ বিবরণীর প্রাথমিক তদন্তে বাড়িটি নির্মাণ করতে ৩৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮৫৬ টাকা ব্যয় হয়েছে জানা যায়। তিনি আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করতে বাড়ির দাম নির্ধারণ করেছিলেন ১৩ লাখ টাকা। এ বাড়ির জমি থেকে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে ১ দশমিক ১৯ শতক দান করেছেন বলেও মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন হিসাব বিবরণীতে। ২০০২ সালের ৩১ অক্টোবর তৎকালীন দুদক কর্মকর্তা আব্দুর রব নকিব আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কেএম সিদ্দিুকর রহমানের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তে ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ৭৪২ টাকার সম্পদ আয় বহির্ভূত বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।

সিদ্দিুকুর রহমান সম্পদের হিসাব বিবরণীতে ওই সম্পদ গোপন করেছেন। তদন্ত শেষে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় সিদ্দিকুর রহমানকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আহমেদ।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনের ৪(২) ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

দুদক আইনের ৫(১) ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আরো ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। উভয় সাজা একই সঙ্গে চলবে। এছাড়া রায়ে আয় বহির্ভূত অর্জিত সম্পদ ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ৭৪২ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৭ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২২
ইউজি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।