ঢাকা: প্রায় চার বছর আগে রাজধানীর শ্যামপুরে শেখ ইসলাম পাভেল নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে তুহিন নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তুহিনের ছোট ভাই এরফানকে যাবজ্জীবন ও ফুফাতো ভাই মাসুমকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া মামলার আরেক আসামি রাব্বিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩০ মে) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফছা ঝুমা এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এরফান ও রাব্বিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড এবং আমৃত্যু কারাদণ্ড হওয়া মাসুমকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা তুহিনকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা অপর দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে তিন আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর আসামি মাসুম পলাতক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম ও আসামিরা শ্যামপুরের জুরাইন এলাকায় বাস করতেন। তুহিন ভিকটিমের বোনকে প্রায় বিরক্ত করতেন। এ নিয়ে পাভেল ও তুহিনের মধ্যে বিরোধ ছিল। ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর রাতে এলাকায় ধূমপান করছিল। পাভেল তাকে ধূমপান করতে নিষেধ করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তখন পাভেলকে হত্যার হুমকি দিয়ে তুহিন চলে যান। পরে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে জুরাইন নতুন রাস্তা খাদ্য ভবনের পাশে পাভেল তার বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করার সময় আসামিরা তার ওপর হামলা চালান। গুরুতর আহত পাভেলকে তার বন্ধুরা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পাভেল।
এ ঘটনায় ওই দিনই পাভেলের বাবা মনির হোসেন শ্যামপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআই’র উপপরিদর্শক মাসুদ খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২২
কেআই/এমজেএফ