ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চারঘাটের মানসুর হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
চারঘাটের মানসুর হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

রাজশাহী: রাজশাহীর চারঘাটের মানসুর রহমান নামে এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত। এছাড়া অপর আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

তবে তিনি পলাতক রয়েছেন।  

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় প্রধান আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয় কোর্ট পুলিশ।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম রোমান হোসেন সেতু (২৩)। তিনি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেন মোফার ছেলে। আর বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত আসামির নাম ইবনে আকাওয়াদ শাওন (৩০)। তিনি ওই একই গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।

রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু বাংলানিউজকে জানান, ২০২০ সালরে ১৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে রাজশাহীর চারঘাট থানার শলুয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধ মানসুর রহমানকে নিজ বাড়িতে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ওই রাতে পুলিশ তার গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে। পরে দ্রুতই চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে রাজশাহী জেলা পুলিশ।

মানসুর রহমানকে খুনের ঘটনার পরপরই সন্দেহভাজন এ দু’জনকে গ্রেফতার করে চারঘাট থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতারকৃত এ দু’জন ১৭ ডিসেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তারা জানান, মূলত অর্থের লোভেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তারা জানতেন যে, বৃদ্ধ মানসুর রহমান তার নিজ বাড়িতে একাই থাকেন। সেতু ও শাওন এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তার বাড়িতে চুরির পরিকল্পনা করেন। তবে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চুরি করতে গেলে টের পেয়ে যান মানসুর রহমান। এ সময় এন্টি কার্টার দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয় বৃদ্ধ মানসুর রহমানকে। এরপর তার রক্তাক্ত মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যান দু’জন।

রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু জানান, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে চারঘাট থানা পুলিশ। এরপর আদালতে বিচার কাজ শুরু হয়।  

পরে এ মামলায় মোট ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে উভয় পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়। এরপর বৃহস্পতিবার আদালতে রায় ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।