ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাংবাদিক কাজলের আপিল ৩১ অক্টোবরের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২২
সাংবাদিক কাজলের আপিল ৩১ অক্টোবরের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

ঢাকা: ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের নামে করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে করা আপিল আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (১ আগস্ট) আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে শফিকুল ইসলাম কাজলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম ও অমিত দাশ গুপ্ত। এর আগে গত ১ জুন কাজলের আবেদনের শুনানি নিয়ে তিন মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।

পরে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

গত বছরের ৮ নভেম্বর ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক তিন মামলায় চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় এ তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

চার্জ শুনানিকালে সাংবাদিক কাজল আদালতে হাজির ছিলেন। তার পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম চার্জ গঠনের প্রার্থনা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাংবাদিক কাজলের নামে আনা অভিযোগ তাকে পড়ে শোনান। এরপর তার কাছে জানতে চান তিনি দোষী না নির্দোষ। এ সময় কাজল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।

এরপর আদালত তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। কাজলের আরেক আইনজীবী জাহেদুর রহমান এ তথ্য জানান।

পরে হাইকোর্টে আবেদন করেন কাজল।

যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়াকে জড়িয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় লেখালেখি করায় গত বছরের ৯ মার্চ রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর। এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়।

মামলা হওয়ার পর গত বছরের ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের ‘পক্ষকাল’ অফিস থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজ হন। ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন। পরে ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।

ঢাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ফটোসাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

পরদিন অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

প্রায় সাড়ে আট মাস কারাভোগের পর গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান কাজল। পরে তিন মামলায় কাজলের নামে চার্জশিট দাখিল করলে মামলাটি বদলি হয়ে বিচারের জন্য সাইবার ট্রাইব্যুনালে আসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২২
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।