পাবনা: পাবনার চাটমোহর উপজেলার ধুলাউড়িতে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় স্বামী মো. সিফাত আলীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করাসহ মামলায় অভিযুক্ত তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আসামির উপস্থিতিতে রোববার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় দেন। এর পরপরই সিফাতকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের মুক্তি দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সিফাত ওই উপজেলার ধুলাউড়ি স্কুলপাড়ার মো. রব্বেলের ছেলে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নাসিমা খাতুনকে পরিবারের লোকজন নিয়ে মারপিট ও গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে যান স্বামী সিফাত। পরে নিহতের বাবা আরদেশ বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় পাঁচজনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরের বছরের ১৫ জানুয়ারি পাঁচজনকে আসামি করে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়। মামলা চলাকালে এক আসামির মৃত্যুও হয়। নাসিমা নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার ভিটাকাজিপুর গ্রামের মো. আরদেশ প্রামাণিকের মেয়ে।
দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও নয়জন সাক্ষীর সাক্ষর শেষে রোববার রায় ঘোষণা করা হলো। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে আসামিপক্ষের আইনজীবী ও পরিবার।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইতি হোসেন মুক্তি বাংলানিউজকে বলেন, রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখানে আসামি সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করছি।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ট্রাইবুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, এটি একটি যুগান্তরকারী রায়। এর মাধ্যমে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২২
এসআরএস