ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
রোববার (৭ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল।
এদিন সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন মামলার বাদী দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। তবে বিচারক জানান, আরও সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করবেন। তাই এদিন কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। তাই পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
মামলাটিতে এখন পর্যন্ত চার্জশিটভুক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। এর মধ্যে ডিআইজি মিজান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর দুই আসামি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক।
২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। এরপর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২২
কেআই/আরবি