ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রংপুরে স্কুলছাত্রী হত্যায় আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২

ঢাকা: ১৯৯৫ সালে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় আম্বিয়া খাতুন নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে হত্যার মামলায় আসামি শফি উদ্দিনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ গ্রহণ) গ্রহণ করে রায় দেন।

 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি। আসামি পলাতক থাকায় তার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী নারগিস আক্তার।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার খামার কুর্শা গ্রামের সোলায়মান আলীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কফিল উদ্দিনের ছেলে শফি উদ্দিনের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ১৯৯৫ সালের ১২ জুলাই আসামি শফি ছুরি নিয়ে সোলায়মানের বাড়িতে ঢুকে তার খোঁজ করতে থাকেন। এ সময় সোলায়মান বাড়িতে ছিলেন না। শফিকে থামাতে সোলায়মানের স্ত্রী আসমা বেগম ও ভাতিজি আম্বিয়া খাতুন এগিয়ে এলে আসামি স্কুলছাত্রী আম্বিয়া খাতুনের পেটে ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই আম্বিয়ার মৃত্যু হয়। এ সময় আসামি শফি সোলায়মানের স্ত্রী আসমাও কুপিয়ে আহত করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আম্বিয়াকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আম্বিয়ার চাচা সোলায়মান আলী বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ১৩ নভেম্বর আসামি শফির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৯ মার্চ শফিকে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মৃত্যুদণ্ড দেন।

পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে সোমবার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয় বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২
ইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।