ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ইডেন ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের নামে মামলা তদন্তের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
ইডেন ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের নামে মামলা তদন্তের নির্দেশ

ঢাকা: ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা, সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলাটি লালবাগ থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূরের আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে লালবাগ থানা পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

একই সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে একই দিন সকালে ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন—নুঝাত ফারিয়া রোকসানা, মিম ইসলাম, নূর জাহান, ঋতু আক্তার, আনিকা তাবাসুম স্বর্ণা ও কামরুন নাহার জ্যোতি।

মামলার আর্জিতে বলা হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার নির্দেশে রাত ১০টার সময় আসামি আনিকা তাবাসুম স্বর্ণাসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন দেশীয় অস্ত্রসহ বাদী জান্নাতুল ফেরদৌসের রুমে অনধিকার প্রবেশ করে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু ওই সময় জান্নাতুলকে না পেয়ে তার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং তার ওয়ার ড্রপে থাকা চিকিৎসার ২০ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত ল্যাপটপ (মূল্য ৩৪ হাজার টাকা) চুরি করে নিয়ে যায়। রুমে বাকিদের জীবননাশের হুমকি দেয়।

খবর পেয়ে জান্নাতুল রুমে আসার পথে আয়শা হলের সামনে রিভা-রাজিয়াসহ ৮ আসামি তাকে ঘিরে ধরে। তারপর চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচড়ে ২নং গেটের গেস্ট রুমের পাশে নিয়ে আসে। এরপর সাংবাদিকের কাছে আসামিদের কু-কর্মের কথা বলার কারণ জিজ্ঞাসা করে তাকে গালিগালাজসহ এলোপাতাড়ি কিলঘুষি লাথি মেরে তাকে নিলাফুলা রক্তাক্ত জখম করে। রিভা তার হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়ে তাকে আঘাত করে।

আর রাজিয়াসহ বাকি আসামিরা তার ওড়না খুলে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গলায় পেঁচিয়ে দুদিক থেকে টান দেয়। জান্নাতুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মৃত ভেবে আসামিরা তাকে ছেড়ে যায়। পরে তার হাত থেকে ২০ হাজার টাকার রিয়েলমি ৭ প্রো, গলায় থাকা ৩৫ হাজার টাকার স্বর্ণের চেনসহ তার বোনের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকার রেডমি নোট ৭ ফোন নিয়ে নেয়।

পরে খবর পেয়ে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাডামরা জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার করেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। পরে ক্যাম্পাস না ছাড়লে তার জীবন শেষ করে দেবে বলে আসামিরা হুমকি দেন।  

এই ঘটনায় লালবাগ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন বলে আর্জিতে বলা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।