ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পাবনায় ধর্ষণের পরে হত্যা, ৫ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
পাবনায় ধর্ষণের পরে হত্যা, ৫ জনের যাবজ্জীবন

পাবনা: পাবনার আটঘরিয়ায় রাজেদা খাতুন ওরফে রাজন নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ করে টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন।  

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর খন্দকার আব্দুর রকিব এবং আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল আহাদ বাবু ও তৌফিক ইমাম খান।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আটঘরিয়ার গোপালপুর গ্রামের মৃত রমজান আলী ছেলে ইদ্রিস আলী (৪০), আবু বকর শেখের ছেলে লিটন শেখ (২৯), তামেজ শেখের ছেলে আব্দুল্লা মেম্বর (৩৩), মৃত তজিম উদ্দিনের ছেলে খোয়াজ শেখ (৪০) ও আব্দুস সালাম শেখের ছেলে আজমত শেখ (৩২)।  

রায় ঘোষণার সময় আব্দুল্লাহ মেম্বর ছাড়া সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।  

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাজেদা খাতুনকে বাড়িতে রেখে তার ছেলে পার্শ্ববর্তী গোপালপুরের কাজিরবাজারে যান। এরপর রাতে বাড়িতে এসে দেখেন মা বাড়িতে নেই। তখন তিনি মনে করেন, তার মা হয়তো নানির বাড়িতে গেছেন। রাতের মধ্যেই মা বাড়িতে ফিরবেন, এটা ভেবে রাতের খাবার খেয়ে দরজা খোলা রেখে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মাকে না পেলে মামা বাড়িতে গিয়ে মায়ের খোঁজ করেন তিনি। এরপর আত্মীয়-স্বজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। ঘটনার তিনদিন পর প্রতিবেশীর হলুদের খেতে লিচু গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পান স্বজনরা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।  

এ ঘটনার চারদিন পর ১২ সেপ্টেম্বর  নিহতের ভাই সিদ্দিক প্রামাণিক বাদী হয়ে আটঘরিয়া থানায় সাতজনের নামে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় পাঁচ আসামিকে এ দণ্ড দেন আদালত। তবে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রামাণ না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামি জিন্নাহ আলী ও আবু বকর সিদ্দিককে খালাস দেওয়া হয়।  

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, এটা একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ধর্ষণের পরে তাকে হত্যা করে মরদেহ লিচু গাছের ডালে বেঁধে রাখা হয়। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু বলেন, আমার মক্কেলরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।