ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রায় কার্যকর দেখতে চান সাংবাদিক আফতাবের মেয়ে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২২
রায় কার্যকর দেখতে চান সাংবাদিক আফতাবের মেয়ে

ঢাকা: একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার মেয়ে আফরোজা আহমেদ। একইসঙ্গে বহাল রায় কার্যকর করার প্রত্যাশাও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১২ অক্টোবর) উচ্চ আদালতে রায় ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।  

এ মামলায় বিচারিক আদালতে দেওয়া ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ৭ বছরের দণ্ডিত এক আসামির দণ্ড বহাল রেখেছেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া মিতি।  

আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান ও হেলাল উদ্দিন মোল্লা। পলাতক আসামির পক্ষে ছিলেন  রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম।

রায়ের পর আফতাব আহমেদের মেয়ে আফরোজা আহমেদের বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।  আলহামদুলিল্লাহ, রায়টা আমরা পেলাম। আদালত যে রায় দিয়েছেন এ জন্য আমরা সন্তুষ্ট। হাইকোর্ট যে রায় দিলো এটা যেন ভবিষ্যতে বহাল থাকে এবং কার্যকর হয় আমি সে কামনা করছি।   

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ প্রবীণ সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার।  

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন- বিল্লাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল ও আফতাব আহমেদের গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা। অপর আসামি সবুজ খানকে সাত বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। রাজু মুন্সি ও রাসেল পলাতক রয়েছেন।  

পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠনো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।  

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর রামপুরায় নিজ বাসা থেকে আফতাব আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হত্যার দায় স্বীকার করে হুমায়ুন কবির, হাবিব হাওলাদার ও বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই জবানবন্দিতে তারা স্বীকার করেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আফতাব আহমেদের বাসায় ডাকাতি করার সময় তাকে গামছা দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধে তারা হত্যা করেন।  

আসামি বিল্লাল হোসেন কিসলু আফতাব আহমেদের বাসার ড্রয়ার ভেঙে ৭২ হাজার টাকা লুট করেন। পরে তারা বৌবাজার নামক একটি জায়গায় এ টাকা ভাগাভাগি করে নেন।

৬৯ বছর বয়স্ক সাংবাদিক আফতাব আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাকের প্রবীণ ফটোসাংবাদিক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ে অনেক দুর্লভ ছবি তোলেন। আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২২
ইএস/এসএ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।