ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নীলফামারীতে ধর্ষণের পর হত্যা: যুবকের ফাঁসি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
নীলফামারীতে ধর্ষণের পর হত্যা: যুবকের ফাঁসি

নীলফামারী: নীলফামারীতে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মাহমুদার (৩৭) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) মো. মনসুর আলম এ রায় দেন।  

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাহমুদার নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার দুন্দিবাড়ী পশ্চিম পাড়া গ্রামের আফান উদ্দিনের ছেলে। তিনি বর্তমানে পলাতক।

আদালত সূত্র ও মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন মাহমুদার। ধর্ষণের বিষয়টি গোপন করতে পরিকল্পিতভাবে মেয়েটিকে হত্যা করেন তিনি। এ ব্যাপারে পরদিন ১ অক্টোবর মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা জলঢাকা থানার সেই সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আরমান হোসেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার এ রায় দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপ্পী জানান, আদালত আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলার শুরু থেকেই আসামি পলাতক থাকায় আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়।  

রায়ের পর মেয়েটির বড় ভাই শরিফুল ইসলাম লাবলু বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের পর রায় হলো। আদালতের রায়ে আমরা খুশি। তবে এ মামলার বাদী আমার বাবার মৃত্যু হওয়ায় তিনি রায় দেখতে পেলেন না।  

সরকার নিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল লতিফ সরকার বলেন, এ মামলায় আসামি বা তার পক্ষের লোকজন আদালতে (আসামি পলাতক) উপস্থিত না থাকায় কোনো ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।